স্বভাবঃ আরবী বনাম বাঙ্গালী
আরবদেশ নবীর দেশ। মক্কা-মদীনা আর অন্যান্য স্থাপনাও আরবে। দেশের সবচেয়ে বড়
শ্রমবাজার আরব। বাঙ্গালী শ্রমিকেরা মুসলিম; তারাও মুসলিম। তারপর এত যুলুম
কেন? কেনে এত অমানবীক আচরণ? ভারত, নেপাল বা অনান্য অমুসলিমরাও কাজ করে।
তাদের সাথে ভালো ব্যাবহার করে কেন? তাদের মাইনে বেশী কেন? প্রশ্নের পর
প্রশ্ন আসে। কিন্তু, একথার তো জওয়াব আছে। আরবী বাঙ্গালী উভয়জাতিই ভালো। আবার উভয়জাতিই খারাপ । আসুন, উভয়জাতিকে একটু মূল্যায়ণ করি।
আরবীরা বাঙ্গালীর কাছ থেকে বলদের খাটুনি নেয়। তাদের বিবেচনা মুসলিম বা
অমুসলিম নয়। তাদের বিবেচনা এরা আমিল। যখন কেউ কাজ করায় তখন সম্পক্ষ খোঁজে
না। বাঙ্গালীরাও খোঁজে না। উত্তরবঙ্গের কেউ রাজধানীতে এলে তাকে খাটিয়ে
নেওয়া হয়; খোজা হয়না তার ধর্ম, জাতীয়তা কিংবা অন্য কিছু। এতে আরবী আর
বাঙ্গালী চমৎকার মিল আছে। কারণ, গরিবকে খাটানো মানুষের স্বভাব।
চাকর
নেওয়া হয় মনিবের হুকুম মানার জন্য। যদি রাঙ্গামাটির কেউ ঢাকা আসে। কোন
চাকুরি নেয় আর তার কাফিলের কথা না বুঝে; কিংবা কামলার কথা মালিক না বুঝে।
তাহলে কল্পনা করা যায় কেমন হবে?
প্রতিযোগীতার বাজারে ভালোর শেষ নাই। যখন অন্য জাতি বেশী ভদ্র হবে- তখন কি অযোগ্য, অভদ্র কিংবা হাবা শ্রমিক সম্মান পাবে?
হ্যাঁ
আরবরা মরুভূমির মেজাজের। হয়ে গেলে হাতেমতাই নতুবা কারুনের মেজাজের।
কিন্তু, ভাষামান, যোগ্যতা, জানা-শুনা হওয়া আর ভদ্রতা বাঙ্গালীদের আরো ইজ্জত
দিতে পারতো। বাঙ্গালীরা জন্ম থেকে আজান ইকামাত শুনে কিন্তু বলতে পারে না।
আর তা হবে কেন? তাই আরবী বা বাঙ্গালী যেইহোক না কেন সবাই সবাইকে জানবে হবে। জানতে হবে সেজাতির ভাষা, তাহযিব আর তামাদ্দুন।